আবু কাউছার চৌধুরী : ভ্রমন করতে কার না ভালো লাগে। ইতিহাস- ঐতিহ্যে ভরপুর ইউরোপের প্রাচীন দেশ পর্তুগাল।
শিল্প, নান্দনিকতা ও ঐতিহাসিকভাবে মানুষের কাছে ভালোবাসার দেশ এটি। পর্তুগালে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে লিসবন, পোর্টো, আলগার্ভ, সিন্ট্রা, মাদেরিয়া, কইম্ব্রা , আলেন্টেজো, সেরা ডা এস্ট্রেলা, এরিকেইরা, ওবিডোস।
একে একে জানা যাক পর্তুগালের দর্শনীয় কয়েকটি স্থানের নাম-
০১. লিসবন- পর্তুগালের রাজধানী লিসবন মানুষের কাছে সুপরিচিত জায়গা। এই শহরে হাঁটা ও ব্যায়াম অনুশীলনের জন্য অসংখ্য পার্ক রয়েছে। আলফামা নামে একটি ঝরনা দর্শনার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক। লিসবন পুরো ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রসিদ্ধ শহর হিসেবে বিবেচিত।
০২. পোর্টো- পোর্টো পর্তুগালের দ্বিতীয় বড় শহর। এই শহরে অনেক রঙীন ভবন রয়েছে যা পর্যটককে বিমোহিত করবে। এখানে বিখ্যাত একটি রেলস্টেশন সাও বেন্টো রেলওয়ে। দর্শনার্থীরা এই শহরকে অনেক পছন্দ করে থাকে। এই শহরে রয়েছে দৌরো উপত্যকা। এই উপত্যকায় অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন।
০৩. আলগার্ভ- নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু আবহাওয়ার অঞ্চল আলগার্ভ। এই অঞ্চলে একাধিক মনোরম সমুদ্রসৈকত এবং অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এসব সমুদ্রসৈকত ও দর্শনীয় স্থানে সবসময় পর্যটকদের ভীড় দেখা যায়।
০৪. সিন্ট্রা- ওবিডোস শহরে রয়েছে অসংখ্য সুরক্ষিত দুর্গ। সুদৃশ্যমান ভবনে পরিপূর্ণ এই শহরে রয়েছে অনেক অভিজাত ভবন। পর্তুগালের এই শহরে রয়েছে লিটারেরি ম্যান হোটেল নামে একটি লাইব্রেরি রয়েছে। এই শহর অনেক মানুষের কাছে পছন্দের।
০৫. মাদেরিয়া– পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এরিকোইরা এটি ছোট একটি গ্রাম। এর বেশিরভাগ মানুষের পেশা মৎস্যজীবী। লিসবন থেকে খুব কম সময়ে এই গ্রামে আসা যায়। এরিকেইরা গ্রামে অনেক সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। মানুষ এই গ্রামকে ভালোবাসে।
০৬. কইম্ব্রা- পর্তুগালের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই শহর সম্পর্কে পর্যটকদের আগ্রহের কমতি নেই। এই শহরে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা। এই শহরে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ইউনিভার্সিটি অব কইম্ব্রা। এই ইউনিভার্সিটি দেশটির অনেক পুরনো ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত।
০৭. আলেন্টেজো- আলেন্টেজো অঞ্চলটি রয়েছে পর্তুগালের প্রাচীন ইতিহাসসমৃদ্ধ। চ্যাপেলা ডস ওসোস বা চ্যাপেল অব বোনস নামে একটি গীর্জা রয়েছে। ষোড়শ শতাব্দিতে নির্মিত গীর্জাটির দেয়ালে আনুমানিক ৫ হাজার মানুষের স্কেলিটন রয়েছে। এটি রোমান মন্দিরের মতো পবিত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হয় স্থানীয়দের কাছে।
০৮. সেরা ডা এস্ট্রেলা- পাহাড়ঘেঁষা অঞ্চল সেরা ডা এস্ট্রেলা। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য এই অঞ্চল উপযুক্ত স্থান। শীতকালে এখানে স্কিইং করার সুযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে পর্তুগালের এই অঞ্চল সেরা ৭ বিস্ময়কর স্থানের অন্যতম ছিলো। প্রকৃতিই এখানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রকৃতির টানে পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করেন।
০৯- এরিকেইরা- পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এরিকোইরা এটি ছোট একটি গ্রাম। এর বেশিরভাগ মানুষের পেশা মৎস্যজীবী। লিসবন থেকে খুব কম সময়ে এই গ্রামে আসা যায়। এরিকেইরা গ্রামে অনেক সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। মানুষ এই গ্রামকে ভালোবাসে।
১০. ওবিডোস– ওবিডোস শহরে রয়েছে অসংখ্য সুরক্ষিত দুর্গ। সুদৃশ্যমান ভবনে পরিপূর্ণ এই শহরে রয়েছে অনেক অভিজাত ভবন। পর্তুগালের এই শহরে রয়েছে লিটারেরি ম্যান হোটেল নামে একটি লাইব্রেরি রয়েছে। এই শহর অনেক মানুষের কাছে পছন্দের।
সূত্র- ইন্টারনেট
নিউজ/রাজগৌরী