আবু কাউছার চৌধুরীঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়ে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশের এএসপি (মিডিয়া) জিয়াউর রহমান পলাশ বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে। স্বাভাবিকভাবে সব কার্যক্রম চলছে। সব ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলন চলাকালে কিছু সমস্যা হয়েছিল, তবে সেগুলো আস্তে আস্তে কমে আসছে। এখন অনেকেই নির্ধারিত ফ্লাইট সময়সূচির আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছাচ্ছেন। বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। কাজ করতে কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে কার্যত সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। এ সময় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ঢাকাসহ দেশজুড়ে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। কারফিউ চলাকালে বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার পথে বিদেশগামী যাত্রী এবং বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানের টিকিটই কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর পরও যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের ভয় ও শঙ্কা কাজ করেছে। তবে কারফিউ শিথিল করার ফলে তাদের মধ্যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভয় কেটে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে কেউ কেউ আটকা পড়েছেন। সেখানে তাদের কয়েক রাত অপেক্ষা করতে হয়েছে। গত ১৯ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক রুটে ১৭টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে ১৯ ও ২০ জুলাই সৌদিয়া এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে চারটি ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন ৪ হাজার ২০০ জন। এ সময় তাদের অনেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেন।
নিউজ-রাজগৌরী-২৫ জুলাই ২০২৪