ষ্টাফ রিপোটারঃ স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিন আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে একদল বিপথগামী সেনা সদস্য স্বাধীনতার স্থপতি ও তাঁর পরিবারের প্রায় সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ শোকাবহ দিনটি পালিত হবে। এবার জাতীয় শোক দিবস একটি ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশে পালিত হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এর পর সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রায় সব ভাস্কর্য ও নামফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির জাদুঘরে রূপান্তরিত ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখা বাড়িটিতে থাকা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সব কিছু ছাই হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৬ বছর টানা ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ এবার জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে সমস্যায় আছে। দলের প্রধান ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই গাঢাকা দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
কোটা সংস্কার দিয়ে শুরু করে সরকার পতনের আন্দোলন চালানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেছেন, এর ফলে নিজেদের কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকার মঙ্গলবার এক বৈঠকে জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি বাতিল করেছে।