ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে সড়কের পাশে ২২ কিলোমিটার তালগাছ রোপন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি নেন । সড়কের দু’পাশে নিজ হাতে মাসব্যাপী তালবীজ রোপন কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি । এ আয়োজনে অংশ নেয় গৌরীপুর সরকারি কলেজ ও গৌরীপুর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী, স্কাউট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গৌরীপুর রক্তদান ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকগণ।
মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর এ কর্মসূচীর সমাপনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তিনি এ সময় রোপনের কর্মসূচীর সঙ্গে এলাকাবাসীকে নিয়ে বজ্রপাত প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় তালবীজ রোপনে প্রচারাভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মাসব্যাপী এ কর্মসূচী চলে সহনাটী ইউনিয়নের ধোপাজাঙ্গালিয়া, মাসকান্দা, জাঙ্গালিয়া, সহনাটী, ভালকাপুর, অচিন্তপুর ইউনিয়নের গাগলা, শাহগঞ্জ, ঈশ্বরগঞ্জ-নেত্রকোণা সড়ক ও ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের শালিহর গ্রামের বিভিন্ন সড়কে। গত ১০ অক্টোবর ময়মনসিংহ গৌরীপুর-ঈশ্বরগঞ্জ-নেত্রকোণা মহাসড়কের গাগলা এলাকায় তালবীজ রোপনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচী উদ্বোধন হয়।
সমাপনী দিনে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে নিজহাতে রাস্তার দু’পাশে তালবীজ রোপন করেন ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ। এসময় এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে অংশ নেয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কমল কুমার রায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম, গৌরীপুর রক্তদান ফাউন্ডেশনের সভাপতি আশিকুর রহমান রাজিব প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, অতি সম্প্রতি বজ্রপাতের প্রবণতা বেড়ে গেছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে সহসাই। এই প্রেক্ষাপটে সড়কে তালবীজ রোপণ করা হয়েছে। বজ্রপাত থেকে রক্ষায় সরকার যে বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন করেন সেটাতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। আমরা মনে করছি একটি তালগাছ একটি বজ্রনিরোধক দণ্ড হিসাবে কাজ করবে।
জানা যায় গৌরীপুর রক্তদান ফাউন্ডেশন ১হাজার ৭শ তালবীজ সংগ্রহ করে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আরও ৫শ তালবীজ সংগ্রহ করা হয়। রাস্তার দু’পাশে প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তালবীজ রোপন করা হয়।
যাযাদি/এসএস