পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পনে ২ কোটি টাকা

juel / ৮৭ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

ছয় মাস সাত দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও এক কেজির মতো স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ছোট-বড় ১২টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। দিনব্যাপী গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি, মাহামুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তাসহ মসজিদ কমিটির অন্য সদস্যরা।
টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, সাধারণত তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ছয় মাস সাত দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদী পশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর