পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১৪১ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেতে চান কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাবেক আমলা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের ব্যক্তিরা। উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫টি আসনের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫৬ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
নওঁগা-৬, পাবনা-৪, সিরাজগঞ্জ-১, ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ এর উপনির্বাচনকে ঘিরে আবারো কোলাহলমুখর আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়। সংসদ সদস্যদের মৃত্যুতে এসব আসন শূন্য হয়। উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি। মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিনে রবিবারও ফরম সংগ্রহ করেছেন ১১জন প্রার্থী। এছাড়া নওঁগা- ৬ আসনে ৩৪, পাবনা-৪ আসনে ২৮, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৩, ঢাকা-৫ আসনে ২০ এবং ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা ব্যক্তিদের সকলেই বেশ আত্মবিশ্বাসী। প্রত্যেকেরই বিশ্বাস দলীয় সভাপতি তাকেই যোগ্য হিসেবে মনোনিত করবেন।
নঁওগা-৬ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের স্ত্রীসহ ছাত্রলীগের ৪ জন, যুবলীগের ২ জন এবং স্থানীয় নেতারা রয়েছেন মনোনয়নের দৌঁড়ে।
পাবনা-৪ আসনে প্রয়াত এমপি শামসুর রহমান ডিলুর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই, ডিলুর খালাত ভাই ও ডিলুর ভগ্নিপতিসহ একই পরিবারের ৬ জন মনোনয়নফরম সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি ২ জন আইনজীবী ও ১ জন চিকিৎসকও রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভির শাকিল জয়, ও নাসিমের বড় ভাই মোহম্মদ সেলিমের ছেলে শেহরিন সেলিম ও সাবেক এক ছাত্রনেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
ঢাকা-৫ এ মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৭ জনের মধ্য আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, শেখ কামালের স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়ে নেহরিন মোস্তফা দিশী।
মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক সবচে বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভীড় ঢাকা-১৮ আসনে। প্রয়াত সাহারা খাতুনের পরিবারের ৩ সদস্যসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্থানীয় নেতা, কাউন্সিলররা রয়েছেন মনোনয়ন দৌঁড়ে। আরো রয়েছেন সাবেক ডিআইজি মাহফুজুল হক, স্বাচিপ নেতা সাব্বির আহমেদ খানসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চায়। যাতে তাদের মেধায় দেশের অগ্রগতি ত্বরাণ্বিত হয়। এজন্য দলীয় প্রার্থী হতে তারাও যেন আবেদন করতে পারে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। তবে, দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে যোগ্য বিবেচনা করবে তাকেই মনোনিত করবেন।
এদিকে, আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী ২৫ আগস্ট দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসবে গণভবনে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে আওযামী লীগের প্রার্থী তালিকা।