ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সূর্যের ধরণীতলে বঙ্গবন্ধু হত্যার অবিশ্বাস্য খবরে বিশ্বাসঘাতকদের প্রথম যে ব্যক্তিটির মুখোশের অন্তরাল থেকে জনসম্মুখে হাজির হন, তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ। হিমালয়সম মহীরূহকে হত্যার পর রাষ্ট্রপতির পদে সমাসীন হন খন্দকার মোশতাক। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু এবং শেষ দুটোই ঘটনাবহুল। মোশতাক কতটা চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছিলেন তা তার কয়েকটি ঘটনার দিকে চোখ রাখলে বোঝা যাবে। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলেই নিজের বাবা-মাকে হারান। মোশতাক তখন মন্ত্রী। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কবর দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে। বঙ্গবন্ধুর বাবা মৌলভী লুৎফর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিলেন মোশতাক। মোশতাক নিজে কবরে নেমে পড়েছিলেন লাশ শায়িত করতে। বঙ্গবন্ধুর মা সায়রা খাতুনের মৃত্যুতে মাটিতে গড়াগড়ি করে কান্নায় চোখমুখ ভাসিয়ে ফেলেন মোশতাক। সংবাদপত্রে যা খবর হয়ে উঠেছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই শেখ কামালের বিয়েতেও বিশিষ্ট ভুমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী মোশতাক। তিনি শেখ কামালের উকিল বাপের আসন অলংকৃত করেন। একবার খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে একটা সোনার বটগাছ উপহার দিয়ে বলেন, “মুজিব তুমি সত্যিকার অর্থেই বাংলার বটবৃক্ষ’, আমরা হলাম ডালপালা মাত্র।”