আবু কাউছার চৌধুরী – ষ্টাফ রিপোর্টার #
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা ছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। কিন্তু ওই বৈঠকের খবর প্রকাশ হয়ে গেছে এই ভয়ে সেটি বাতিল করেছেন তিনি। এর ফলে ওয়াশিংটনে অবস্থান করাটা তার জন্য একটি ‘দুঃস্বপ্ন’ হয়ে উঠবে বলেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
তবে উভয় নেতার মধ্যে এই বৈঠক রেকর্ড করে পরে ঘোষণা বা লাইভ করা হতো কিনা সে বিষয়ে মতৈক্য হয়নি। তবে ওই বৈঠকে অন্ততপক্ষে উভয় নেতার মধ্যে হাত মেলানোর একটি সম্ভাবনা দেখছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জামাতা এবং উপদেষ্টা জেরাড কুশনার। কারণ তারা চাইছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তির পর ওই অঞ্চলে আবারও শান্তিস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন প্রিন্স মোহাম্মদ।
ওই বৈঠকের পর যুবরাজ মোহাম্মদ যে বিবৃতি দিতেন, তাতে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া থেকে বিরত থাকতেন বলে জানা গেছে। তবে সৌদি আরব যে ইসরায়েলের সঙ্গে জোরালো এক সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে ওই মিটিং তার বড় একটা ইঙ্গিত।
ওই বৈঠকের ব্যাপারে তারিখ নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি একটি প্রোটোকল টিমও বৈঠকস্থল পরিদর্শন করেছে।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, রিপাবলিকান কনভেনশন শেষ হওয়ার পর ৩১ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কথা ছিল যুবরাজ মোহাম্মদের। এমনকি তার থাকার জন্য গোপনে চারটি বাড়িও কেনা হয়েছে, যাতে সবার নজর এড়ানো যায়।
কিন্তু গত শনিবার যুবরাজ মোহাম্মদ জানতে পারেন যে তার বৈঠকের খবর ফাঁস হয়ে গেছে। এরপরই অনেকটা বাধ্য হয়ে ওই বৈঠক বাতিল করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে প্রায় তিন সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর আর মার্কিন মুলুকে যাওয়া হয়নি সৌদি যুবরাজের।