দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশের যৌথ একটি দল। আটক ব্যক্তি এই ঘটনার ‘মূল আসামি’ বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে হাকিমপুর উপজেলার হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আসাদুল হক ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাবের রংপুরের একটি দল যৌথভাবে কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসাদুল হককে আটক করে। তাকে রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বিষয়টি রাতেই নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ভোর ৪টা ২৫ মিনিটের মধ্যে দুষ্কৃতকারীরা সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে মই বেয়ে প্রবেশ করে ওয়াহিদা খানমের শোয়ার ঘরে ঢুকে পড়ে।
এ সময় ইউএনও ওয়াহিদা খানম টের পেলে তার কাছে দুষ্কৃতকারীরা আলমারির চাবি চায় এবং কোথায় কী আছে জানতে চায়। এ সময় তিনি এসব বলতে অস্বীকৃতি জানালে দুষ্কৃতকারীরা হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তার চিৎকারে তার বাবা ওমর আলী এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করে দুষ্কৃতকারীরা।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দুজনকে সরকারি বাসভবন থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর পাঠানো হয়।
রংপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়।