নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের পরপরই মসজিদের ফ্লোরের নিচ থেকে গ্যাস বের হওয়ার তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, এটি তিতাসের লাইনের লিক থেকে হতে পারে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এসির বিস্ফোরণের কারণেও গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৩৭ জনের শরীর ‘৮০ থেকে শতভাগ দগ্ধ’।
এটি নিছক দুর্ঘটনা না কি পরিকল্পিত হামলা- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের(সিটিটিসি) বম্ব টিমের ইনচার্জ ও অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমতুল্লাহ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। বার বার লোডশেডিংয়ের কারণে মসজিদের চারটি এসির কম্প্রেসারগুলোর এক সাথে বিস্ফোরণ ঘটেছে। যার কারণে অনেক বেশি মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মসজিদের ফ্লোরের নিচে কোনো গ্যাস লাইনও থাকতে পারে। বিষয়টির বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধানে বম্ব টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে এসি হয়।
এতে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিনসহ গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীর ৮০ থেকে শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।