নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মনির ফরাজী (৩০) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬ জনের মৃত্যু হলো।
রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে আবুল বাসার মোল্লা (৫১) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন- মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), শামীম (৪৫), জুলহাস (৩৫) ও মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫)।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা। বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও মারা যাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় প্রথমে জুবায়ের (৭) নামে এক শিশু গতকাল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীর ৮০ থেকে শতভাগ দগ্ধ হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।