টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৪জনকে খুন মাত্র ২ শত টাকার জন্য

Iqbal Hossain Jwel / ৮০ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

রাজগৌরীপুর ডেক্সঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পৌর এলাকায় একই পরিবারের চার জনকে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা সাগরকে (২৬)গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)১২ ।
রোববার (১৯ জুলাই) বিকালে  উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরি ও বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া টিভি,মোবাইলসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।২শ’ টাকার জন্য  একই পরিবারের ৪ জনকে খুুন করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাগর।
টাঙ্গাইল র‌্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মোহাম্মদ তালাত এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য  জানান। প্রেস ব্রিফিং এ জানাানো হয়,টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলার মাস্টার পাডা এলাকার আব্দুল গনি সহ তার পরিবারের আরও ৩ জন সদস্যকে গত ১৫ জুলাই, বুধবার দিবাগত রাতে হত্যা করা হয়, গত ১৭ জুলাই শুক্রবার সকালে বেলা আব্দুল গনি মিযার বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে আব্দুল গনির শাশুড়ি ও এলাকার লোকজনের মাধ্যমে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে    আব্দুল গনি (৪৫), তার স্ত্রী তাজিরন বেগম(৩৮), পুত্র তাজেল(১৭) ও ছোট কন্যা সাদিয়া(০৮) লাশ উদ্ধার করা হয়।এরপর থেকে  র‌্যাব-১২ সকল প্রকার গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।এর ধারাবাহিকতায় রবিবার (১৯ জুলাই) সকালে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামের মগবর আলীর ছেলে মো. সাগর আলী(২৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞেসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সত্যতার কথা স্বীকার করে জানান,ভুক্তভোগী আব্দুল গনি সুদের ব্যবসা করতো।সাগর আলীর সাথে পূবের্ থেকেই সুদের লেনদেন ছিলো।কয়েকবার সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয় সাগর আলী।গত মঙ্গলবার আব্দুল গনির কাছে  পুনরায় ২শ’ টাকার জন্য গেলে তাকে অনেক বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সাগর অপমান বোধ করলে তার অপর এক সহযোগীকে নিয়ে হত্যা এবং টাকা পয়সা ও সম্পদ লুণ্ঠনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর তার সহযোগীকে নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গনির বাসায় যায়। যাওয়ার পূর্বে সাগরের সহোযোগী বাজার থেকে চেতনা নাশক নিয়ে যায়।সাগর গনি মিয়ার পূর্বপরিচিত হওয়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবে বাসায় ঢোকার অনুমতি পায়। আকস্মিক ভাবে চেতনা নাশক ব্যবহার করে গনিকে অচেতন করে।পরিবারে সবাই ঘুমে থাকায় অচেতন করতে সহজ হয়। সবাইকে ঠান্ডা মাথায় গনি মিয়ার বাসায় ব্যবহৃত কুরাল ও আসামিদের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রত্যেককে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। গৃহ ত্যাগ করার পূর্বে বাসার মূল্যমান জিনিসপত্র নিয়ে বাসা বাহির থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়। 
আসামির স্বীকারউক্তি অনুযায়ী পরবর্তীতে আসামির বোনের বাড়ি ব্রাক্ষ্মনবাড়ি (মজিদ চালা) থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। অপর সহযোগীকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১২ এর অভিযান চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর