গৌরীপুরে অবাধে মাছ নিধন

juel / ১১৯ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আনোয়ার হোসেন শাহীন:
মাছে ভাতে বাঙালি ভোজন রশিকের খাদ্য তালিকা মাছ থাকবে নাএটা ভাবাই যায় না। এবার বর্ষার শেষের দিকে দফা দফায় অতিবৃষ্টির, খাল-বিল,জলা পানিতে টইটুম্বুর। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির দেশিয় মাছ বংশ বৃদ্ধি করছে। কিন্ত এক শ্রেণীর মানুষ সমূদয় মাছ নিধনের জন্য যেন উৎসবে মেতে উঠেছে।
ময়মনসিংহর গৌরীপুর উপজেলা ছোট বড় অনেক গুলো হাওর – বাউর,বিল-ঝিল, নদী জলাশয় রয়েছে। এর মধ্যে ডুকি বিল,সানঝাল বিল,বওলা বিল,সিদ লং বিল,পিটুয়া বিল, বলেশ্বর বিল,জল বুরুঙ্গা বিল,ডেওয়া বিল, চৌকা বিল, খেইলা বিল ( কিছু অংশ) টুকুরিয়া বিল,পটিয়া পুরি বিল, ভালকি বিল,পাচারকান্দা বিল, সুরিয়া নদী,বহ্মপুত্র নদী,ভরাটিয়া কাজীর গাঙ্গ, লংকা খাল, বালুয়া খাল, ইত্যাদি নাম না জানা আরো ছোট ছোট নদী খাল বিল রয়েছে।
এক সময় এ সব বিল ও জলাশয়ে দেশিয় প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্যে হিসেব খ্যাত ছিল।বর্তমানে এ সব খাল, বিল,জলাশয় ও নদীর নাব্যতা হ্রাসের কারনে সঙ্কোচিত হয়ে গেছে।তবু যেটুকু রয়েছে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার জন্য রাত দিন শিকারীরা হরেক রকম মাছ ধরার জাল,বাইর,খরা জাল,কারেন্ট জাল,বর্শি, পলো,বানা, বাধ,কৈ জাল,টেলা জাল,খুইয়া জাল,লাড়, বেইল জাল, চাপিলা জাল,টাক জাল, কোচ,জুইতে,টেটা ইত্যাদি দিয়ে অকাতরে মাছ নিধন করে চলছে। বানা জাতীয় পানি আটকিয়ে পানি ফুলিয়ে মাছ ধরা খুবই নির্মম।এতে ছোট-বড় কোন মাছই রেহাই পায় না। এতে যে সব মাছ ধরা পরে তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য দেশী পুটি, টাকি, ডানকানা,পাবদা,শিং,মাগুর, বাইল্যা,সর পুটি, টেংরা কালি বাউশ,বাইম, চিংড়ি, শোল,গজার,বোয়াল,রুই, পুটা,খৈলশা,চান্দা,গুতুম,কাইক্ষে,তেলাপিয়া, কাজলী,বাশপাতা,গোড়া,আইড়,পাঙ্গাস,চিতল প্রভৃতি।এমনি অতিবৃষ্টিতে নিচু জমি তলিয়ে যেয়ে ফসল হানি ঘটে তা ছাড়া মানুষের তৈরি মাছ ধরার নেশায় বাশ,বানা দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে উপজেলার শত শত একর ফসলী ডুবে বিনষ্ট হচ্ছে। ৯ সেপ্টম্বর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে সুরিয়া নদীতে ৩ টি বাধ অপসারণ করে ২ শত একর ফসলী জমি রক্ষা করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার হাসান মারুফ।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সহয়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাশা রইলো বাঁধ অপসারনের ন্যায় দেশীয় প্রজাতির পোনামাছ নিধন থেকে এ মাসে উপজেলা খাল বিলে ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করে পোনামাছ নিধনের হাত রক্ষা করুন। তা না হলে হারিয়ে যাবে সু- স্বাধু দেশীয় প্রজাতির হরেক রকমের মাছ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর