ফারুক আহাম্মেদঃ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো। সরকারের দেওয়া নিদিষ্ট উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন স্কুল চলাকালে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এক প্যাকেট করে প্রোটিন সমৃদ্ধ বিস্কুট দেয়া হতো। স্কুল বন্ধ থাকায় বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। এতে প্রকল্প এলাকার শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় স্কুল বন্ধ থাকলেও স্কুল ফিডিংয়ের প্রোটিন সমৃদ্ধ বিস্কুট শিশুরা যাতে খেতে পারে তার জন্য শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।এরই আলোকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের গাভীশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় আব্দুর রহিম মাস্টারের বাড়ীতে বিস্কুট বিতরন আনুষ্টানিক ভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান স্কুুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারুক আহাম্মদের সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার জাহান চঞ্চলের সঞ্চালনায়প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবু রায়হান, উপস্থিত ছিলেন,স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন শাহীন,আব্দুল কাদির, শাহজাহান কবির,স্কুল ফিডিং প্রকল্পের এনজিও সংস্থা পপির বাস্তবায়নে পপি ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রকল্প সমন্নয়কারী মোহিনুল ইসলাম,ফিল্ড মনিটর আব্দুল্লাহ আল ইমরান- পপি কর্মীদের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৩৬ প্যাকেট করে বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এনজিও’ পপির তত্ত্বাবধানে এ বিস্কুট দেয়া হবে।