চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পর্বে প্রথম স্বেচ্ছাসেবী হচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার রাতে তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইয়ান জানান, দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী তিনিই হতে চান। উল্লেখ্য, চীনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ফেইজ থ্রি ট্রায়ালের নীতিগত অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ-বিএমআরসি।
আগামী আগস্ট মাসে আইসিডিডিআরবির-এর তত্ত্বাবধানে ট্রায়াল শুরু হবার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে চীন উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
চলছে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রস্তুতি। বড় আকারে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাতে ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমোদন পেয়েছে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর পরীক্ষা চালানোর আগ্রহ দেখায় দেশটি।
চীনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত রোগী কমে যাওয়ায় এখন দেশের বাইরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য জায়গা খুঁজছে দেশটি। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় বাংলাদেশকে এর উপযুক্ত মনে করছে চীন।
ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে অবহিত আছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন এমন এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘দেখুন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে করোনার সংক্রমণের ভয় আমাদের বেশি। আবার মাসের পর মাস সবকিছু বন্ধও রাখা যাবে না। এমন অবস্থায় এই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ শুধু নয়, পুরো বিশ্ব এর অপেক্ষায়।’
এর আগে বাংলাদেশে আসা চীনের প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানানোর সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, ‘চীন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। তাদের কাজে অগ্রগতিও অনেক।
এ ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। চীনের করোনা সংক্রমণের সময় বাংলাদেশ যেভাবে পাশে ছিল, চীন সরকার সে উদারতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য সবার আগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে’।