বাংলাদেশীদের জন্য অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিষেধকের মূল্য হতে পারে ৩ শত টাকা

Iqbal Hossain Jwel / ৮৭ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ব্রিটেন, আ’মেরিকা, ব্রাজিল মিলিয়ে ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ভা’রতেও শীঘ্রই এই প্রতিষেধকটির ট্রায়াল শুরু করতে চায় এর উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভা’রতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। সেই ম’র্মে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রা’গ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে অনুমতিও চাওয়া হবে। এর মধ্যেই এই টিকার দাম স’ম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও জানান, ভা’রতে করো’না পরীক্ষার জন্যই ২,৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির দাম ১,০০০ টাকা বা তারও কম রাখা হতে পারে। বলে রাখা ভাল, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি যে প্রতিষেধকটি সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে সেটির নাম Covishield।

আদর পুনাওয়ালা বলেন, “Gavi-র (ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স) তালিকাভূক্ত দুর্বল অর্থনীতির দেশগু’লিতে Covishield-এর দাম ২-৩ ডলারের মধ্যেই রাখা হবে (ভা’রতীয় মূদ্রায় যা ৩০০ টাকারও কম)। আর আমা’র মনে হয়, কোনও ভা’রতীয়কেই অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকের জন্য টাকা খরচ করতে হবে। কারণ, ভরতে সরকারের মাধ্যমেই বিনামূল্যে এই প্রতিষেধক জনসাধারণকে দেওয়া হতে পারে।” তিনি জানান, এ বছরের মধ্যেই Covishield-এর প্রায় ৪০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলবে তাঁর সংস্থা।

প্রসঙ্গত, প্রতিষেধক তৈরি করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি তহবিল গড়ে অর্থ সংগ্রহ করছে Gavi-র (ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স)। লক্ষ্য, কমপক্ষে ৭.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করা। উদ্দেশ্য, আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতির দেশগু’লির প্রায় ৩০ কোটি শি’শুকে অ’ত্যন্ত সুলভে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করছে এই ভ্যাক্সিন অ্যালায়েন্স Gavi। ২০১৪ সালে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স Gavi-এর গ্রাহক থেকে দাতা (ডোনার) হয়েছে ভা’রত। এ পর্যন্ত এই তহবিলে ভা’রতের অবদান ১২ মিলিয়ন ডলারের। তাই ভা’রতেও অ’ত্যন্ত সুলভ মূল্যেই মিলবে করো’নার প্রতিষেধক, যা হয়তো কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যেই জনসাধারণকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলেছে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালার কথায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর