গৌরীপুরে আইরন ও জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষ উদ্ধুদ্ধকরন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

Iqbal Hossain Jwel / ৬৩ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

রক্তকণিকায় হেমোগ্লোবিন, গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বিকাশসহ অসংখ্য রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আর অপুষ্টি তাড়ানো ধানের জাত ‘ব্রি-ধান ৮৪’। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই/২০২০) ‘রাইস গ্রেইন ভেল্যু চেইন এক্টরস্ মিটিং’ এ তথ্য জানানো হয়। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্র।

সভায় মানুষের দেহে ‘আইরন ও জিংক’ এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ এর এগ্রিকালচার রিসার্চ ডেভেলাপমেন্ট অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, জিংকের অভাবে শিশুদের ক্ষুধা মন্দা হচ্ছে। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ, মা ও শিশুর জন্য জিংক এবং আইরন অত্যন্ত প্রয়োজনী। এ চাহিদা পূরণ করবে বোরো মৌসুমে ব্রি-ধান ৮৪। শুধু জিংকযুক্ত ব্রি-ধান ৭৪। আমন মৌসুমের জন্য এসেছে নতুন উদ্ভাবিত বিনা ৬২, বিনা ৬৪ ও বিনা ২০ জাতের ধান। তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে মানুষের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করবে উদ্ভাবিত নতুন এ জাতের ধান। কৃষকদের এ ধান চাষের পদ্ধতি, ফসল কাটা, মাড়াই ও সংরক্ষণের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শরীফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াহেদ, প্রকাশ গনউন্নয়ন কেন্দ্রের কো-অর্ডিটের মোঃ মোতাকাব্বীর ভূইয়া, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ শামীম আলম, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইছ উদ্দিন, গৌরীপুর ব্যবসায়ী ঐক্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আনিছ, মোঃ এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, এনজিও, কৃষক, সাংবাদিক, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৬০জন অংশ নেন।
উদ্ভাবিত ধানের বাজারজাত, বীজ সংগ্রহ ও সরবরাহ, চাল উৎপাদন, বিপণন ও বাজার সৃষ্টির দায়িত্ব নেন প্রকাশ গণউন্নয়ন কেন্দ্রের কো-অর্ডিটের মোঃ মোতাকাব্বীর ভূইয়া। তিনি জানান, ওষুধের বিকল্প হিসাবে মানুষ উদ্ভাবিত নতুন জাতের এ চাল সংগ্রহ শুরু করেছে। আগামীদিনে ডাক্তারের ‘প্রেসক্রিপশানেও এ জাতের চাল খাওয়ার’ উপদেশ লেখা থাকবে, সেদিন প্রেসক্রিপশানে ওষুধ নয়, চালের নাম লেখা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে এ উপজেলায় এবার বোরে মৌসুমে অর্ধশত কৃষক এ ধান চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। সহনাটী ইউনিয়নের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ধানের ফলন ভালো হয়, চালও সুন্দর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর