জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে উল্লেখিত সংগঠনের ব্যানারে তার একটি পোস্টার ফেইসবুকে প্রচার হলে গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে এ বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে এ নিয়ে সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে ফেইসবুকে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এক সময়ের উপজেলা ছাত্রদল,যুবদল ও বিএনপি’র সক্রিয় নেতা মোঃ মাহমুদুল হোসেন রাসেল রাজধানীর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রজন্মলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। আওয়ামী লীগের এই হাইব্রিড নেতার বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার ২নং ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে। রাজধানীতে ব্যবসার সুবাধে অবস্থান করে অতি সম্প্রতি তিনি ওই ভুইফোঁড় সংগঠনটির পদ ভাগিয়ে নেন। রাসেলের এ পদ প্রাপ্তিতে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই নয় তার একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী ছাত্রদল যুবদল নেতা-কর্মীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছে।গৌরীপুর রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি তানজীর আহমেদ রাজীব জানান, এসব ভুইফোঁড় সংগঠনের কারনে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব আজ হুমকীর মুখে। বিএনপির একজন সক্রিয় নেতাকে রাতারাতি আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়ার ঘটনাটি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফ জানান, মাহমুদুল হোসেন রাসেল ৯০ দশকে প্রথমদিকে গৌরীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। সেসময় ছাত্রলীগের মিছিলের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনায় তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখতেন। ছাত্রজীবন শেষে রাসেল যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার পরিবারের সকল সদস্যরা বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন ও বর্তমানে আছেন। রাসেল কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রজন্মলীগের পদ থেকে অবিলম্বে বহিস্কারের জোরালো দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় গৌরীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবুল ফজল মুহম্মদ হীরা ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য না হয়েও বিএনপি নেতা রাসেল কে উল্লেখিত ভুইফোঁড় সংগঠনের পদে নিযুক্ত করার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় একটি ঘটনা। অবিলম্বে তাকে বহিস্কার করা না হলে রাজপথে প্রতিবাদ জানাবেন বলে বলেন মন্তব্য করেন তারা।