পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি স্যাটেলাইট পাঠাবে বাংলাদেশ, চুক্তি নিতে রুশ-ফ্রান্স প্রতিযোগিতা

Iqbal Hossain Jwel / ৬৪ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ডানা মিলেছে মহাকাশে। সাফল্য লাভের পর নেওয়া হয়েছে নতুন পরিকল্পনা। সাফল্যের ধারাবাহিকতায়  আরো তিনটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে সরকার।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৯ বছরের মধ্যেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করবে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৬ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চায় সরকার। ইতোমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ২য় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং বাজেট নির্ণয়ে কাজ শুরু করেছে।

সফলভাবে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা গেলে ২০২৯ সালের মধ্যে আরো ২টি স্যাটেলাইট পাঠাবে সরকার। ২০২৩ সালে ২য়, ২০২৭ সালে ৩য় এবং ২০২৯ সালে ৪র্থ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

তথ্যসুত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইটের ডিজাইন এবং উৎক্ষেপণসহ কারিগরি সহায়তা দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জেইন মেরিন সূক্ষ্ম। এছাড়াও ২য় স্যাটেলাইট তৈরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং উৎক্ষেপণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে রাশিয়া ভিত্তিক স্পেস রিসার্চ সংস্থা গ্লাভকস্মস কোম্পানি।

এজন্য গত ২০১৯ সালের অক্টোবরে গ্লাভকস্মস কোম্পানির ডেপুটি ডিরেক্টর ভিতালি সেভেনভ ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার দল বাংলাদেশে এসেছিলেন, তারা বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সাথে বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছেন।

বাংলাদেশ এ নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে তাদের একটি স্লট ভাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় রাশিয়া আরো স্লট দিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে চাহিদা অনুসারে যেকোনো ধরনের স্যাটেলাইট প্রেরণ করতে সক্ষম রাশিয়া। এ সময় রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ স্যাটেলাইট তৈরিতে টেকনিক্যাল বিষয়ে সহায়তা, জনবল প্রশিক্ষণ, স্যাটেলাইটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণ খরচ নিরূপণে পরামর্শক হিসাবেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট’টি সরাসরি বাংলাদেশের উপর অবস্থান না করে কৌণিক ভাবে অবস্থান করছে, পরবর্তী স্যাটেলাইটগুলো যেন অবশ্যই আমাদের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী নিজস্ব কক্ষপথের কাছাকাছি থাকে তার জোর প্রচেষ্টা চালাবে সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর