আবু কাউছার চৌধুরী : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২৫ জুন বিকেল ৫টায় ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসের আয়োজনে লা মেরিডিয়ান হোটেলে ককটেল অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইউএস এয়ার ফোর্স ব্যান্ড কনসার্ট ফিট পরিবেশন করে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা বাজানো হয়। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সাইক্লোনের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমার দেশের স্বাধীনতা দিবসে আমি বাংলাদেশ জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামে তাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে চাই। আমরা সবাই জানি, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান নির্মাতারা যেমন বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সুফল কে সুরক্ষিত ও অটল রাখার পথ সর্বদা সহজ বা মসৃণ হয় না। প্রত্যেক প্রজন্মকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।’
পিটার হাস আরও বলেন, নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের দুই দেশের মানুষ সহযোগিতা করতে পারে এমন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে। এর অনেক উদাহরণের মাঝে একটা হলো, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের লক্ষ্য এক। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা এবং একে অপরকে এটি অর্জনে সহায়তা করতে আমাদের উভয় দেশের মানুষকে একত্রিত করার জন্য কাজ করি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তা আমাদের দুই দেশের সহযোগিতার একটি মূল ক্ষেত্রকে তুলে ধরেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আমাদের উভয় দেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ুর ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের একটি মূল ক্ষেত্র এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আপনাদের চারপাশের প্রদর্শনীর থাকা তথ্যগুলো ভালোভাবে দেখার জন্য এবং অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন স্বার্থের অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কোথায় কাজ করছে তা অনুধাবনের জন্য উৎসাহিত করছি। একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের দুই দেশই সমস্যা সমাধানে আরও বেশি সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, এবারের থিম জলবায়ু পরিবর্তন। এনিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় সপ্তম। যুব ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সম্পর্কিত স্মার্ট কৃষি, বায়োডাইভার্সিটি, সাসটেইনেবল শহর এবং বায়ুদূষণ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এমপাওয়ারিং ইউথ চ্যাম্পিয়ন, স্টে্রনগথিনি রেসিলিয়েন্স টু ক্লাইমেট ইমপেক্স, অ্যাডভান্সিং ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, কনসারভিং বায়ো ডাইভারসিটি , ক্রিয়েটিং সাসটেইনেবল সিটি, ইম্প্রুভিং এয়ার কোয়ালিটি ইত্যাদি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনে যৌথভাবে কাজ করছে।
নিউজ-রাজ-গৌরী- ২৬-০৪-২০২৪