অনলাইন ডেক্সঃ পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে সহিংস হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। বেশ কয়েকজনকে আক্রমণকারীরা তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
গত বুধবার ২৫ জুলাই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, ‘আমি পাপুয়া নিউ গিনিতে মারাত্মক সহিংসতার বিস্ফোরণে আতঙ্কিত।
আপাতদৃষ্টিতে জমি এবং হ্রদের মালিকানা ও ব্যবহারকারীর অধিকার নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।’ পিএনজির কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ লোকজনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৬ ও ১৮ জুলাই পিএনজির ইস্ট সেপিক প্রদেশে হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গ্রামগুলোর দুই শর বেশি বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী পাপুয়া নিউ গিনিতে শত শত উপজাতি ও ভাষার জনগোষ্ঠীর বসবাস। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। গ্রামবাসী গত দশকে তীর ও ধনুকের বদলে সামরিক রাইফেল ব্যবহার করা শুরু করেছে, এতে সহিংসতা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে আর নির্বাচনী ব্যবস্থা বিদ্যমান জাতিগত বিভেদ আরো গভীর করে তুলেছে।
গত মে মাসেও এনগা প্রদেশে লড়াইয়ে আটজন নিহত এবং ৩০টি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারিতে একই অঞ্চলে অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছিল।
সূত্র : রয়টার্স- ইন্টারনেট / নিউজ-রাজগৌরী-২৫ জুলাই ২৪