আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সচিবালয় মুখী অভিযান করবে অরাজনৈতিক ছাত্রগোষ্ঠী ছাত্র সমাজ। আরজিকর কাণ্ডের দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
অভিযান ঘিরে একদিকে যেমন রাজনৈতিক মহলে রয়েছে টানটান উত্তেজনা অন্যদিকে নবান্ন অভিযানে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। পুলিশের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের নামে শহরজুড়ে তাণ্ডব চলতে পারে। এমন আশঙ্কায় রাজ্যের সচিবালয় ও লাগোয়া এলাকাকে সেদিন কার্যত দুর্গে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। লক্ষ্য একটাই, জমায়েত ঘিরে যেন কোনো ভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়। মোতায়েন থাকবে দুই হাজারের বেশি পুলিশকর্মী। সঙ্গে আইজি, ডিআইজির মতো পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারীরা।
সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির আগের দিনই করা নিরাপত্তা বলয়ে কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্যে প্রশাসনিক প্রধান কার্যালয় নবান্নকে। আগামীকাল মূলত যে তিনটে পথ দিয়ে নবান্নের দিকে আন্দোলনকারীরা আসবেন, তাদের আটকাতে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে নবান্ন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কোনা এক্সপ্রেস ওয়ের সাতরাগাছি ব্রিজের আগে ও হাওড়া ময়দানে জি টি রোডের ওপর লোহার বিম ঝালাই করে ব্যারিকেট নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাস্তার দুই ধারে ঘিরে দেয়া হচ্ছে টিন দিয়ে। নজরদারি রাখার জন্য লাগানো হচ্ছে গোটা এলাকায় অতিরিক্ত সিসিটিভি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কলকাতা পুলিশ জানান সচিবালয়ের অভিযান বেআইনি বলে মন্তব্য করেন। সাধারণত নবান্ন চত্বরে কোনো রকম জমায়েত বা অভিযানের জন্য অনুমতি প্রয়োজন হয়। তবে ২৭ তারিখের সেই অভিযানের জন্য কেউ পুলিশের কাছে কোনো অনুমতিই চায়নি বলে জানান এডিজি মনোজ ভার্মা।
এদিকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে যখন রাজনীতির পারদ চড়ছে। এর মাঝেই এই অভিযানের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করল তৃণমূল নেতৃত্ব। এই অভিযানের মাঝে গুলি চালানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। এই মিছিলের পেছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দুটি গোপন ভিডিও প্রকাশ করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সূত্র- ইন্টারনেট-সম/ নিউজ-রাজগৌরী