মেজর সিনহা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের

Iqbal Hossain Jwel / ৮৫ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০

ঢাকা অফিসঃ আগামী তিন মাসের মধ্যে দ্রুত আদালতের মাধ্যমে মেজর সিনহা হত্যার ন্যায় বিচার সম্পন্ন করা এবং দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)। বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়ার হেলমেট হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেজর খন্দকার নুরুল আফসার।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাওয়া। অন্য দাবিগুলো তুলে ধরে মেজর খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠাতে হবে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে যাদের নাম আসবে তাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।

এছাড়া কক্সবাজারের এসপিকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা, তথ্য গােপন করে মিডিয়াতে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া ও একমাত্র চাক্ষুস স্বাক্ষী সিফাতের বিরুদ্ধে দু’টি কাল্পনিক ও বানােয়াট মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, ওসি প্রদীপকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো। প্রত্যক্ষদোর্শী সিফাত ও ট্রাকড্রাইভারসহ সব সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুরূপ একটি ভিন্ন মন্ত্রণালয় (ভ্যাটারান মন্ত্রণালয়) গঠন করে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিরাপদ ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জীবনযাপনে সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী, সরকার প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, তিনি সার্বিক বিষয়গুলো অবহিত আছেন এবং যথাযথ দিকনির্দেশনা দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার সম্পন্ন করে সব সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন।

আরও বলা হয়, আমাদের আমৃত্যু সম্মান ও সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চিত করার দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। সব সাক্ষীদের দীর্ঘ মেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সাক্ষীদের পরিচিত বা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমেও যেনো কোনো চাপ সৃষ্টি না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কালক্ষেপণ না করে এ মামলার দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযােগপত্র দাখিল করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মােতাবেক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসাবে গড়ে তােলার জন্য জবাবদিহিমূলক আইন প্রণয়ন করে, সেই অনুযায়ী বাহিনীকে পুনর্গঠিত করা। রাষ্ট্রের সব অস্ত্রধারী বাহিনীকে অবশ্যই সংবিধান মােতাবেক সুশৃঙ্খল হওয়া বাধ্যতামূলক। কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে যেনো কোনো রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বাস্তবায়িত না হয়। সেদিকে সবার সদয় দৃষ্টি কামনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর