করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশ্বজুড়ে শিশুদের টিকাদান আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ডিফথেরিয়া, টিটেনাস ও হুপিং কাশির মতো নানা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছর সেই টিকাদান ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এই কারণে অদূর ভবিষ্যতে শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণা জরিপে দেখা গেছে, ৮০টির বেশি দেশে তিন-চতুর্থাংশ টিকাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শিশুদের টিকাদান কমার তথ্য পাওয়া গেল। এই টিকাদান কমার কারণও ব্যাখ্যা করেছে জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) না থাকা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, স্বাস্থ্যকর্মী সংকট ও ঘর ছাড়তে অনীহার কারণে টিকাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে বলেছেন, এসব টিকা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই শক্তশালী। টিকা না পাওয়ায় শিশুদের রোগে ভোগা ও মৃত্যুর হার করোনাভাইরাসের মৃত্যুকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত হামের ৩০টির বেশি টিকাদান কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে অথবা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। করোনা মহামারির আগে থেকেই হামের ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে ছিল বিশ্ব।
Source : Prothom Alo