লাগাম টেনে ধরতে না পারলে করোনা পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ১ সেপ্টেম্বর নাগাদ রাজ্যে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার হতে পারে। মারা যেতে পারে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। পূজার সময় ২২ অক্টোবর সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়াতে পারে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ হতে পারে। মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে ২২ হাজার।
করোনা নিয়ে এমন আশঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি)। আইআইএসসির ডেটা সায়েন্স বিভাগের গবেষক অধ্যাপক শশী কুমার গনেশন ও দীপক সুব্রক্ষণি অন্তত ৬টি সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন আজ শুক্রবার কলকাতার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, গোটা ভারতে করোনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে বিশ্বে রেকর্ড গড়তে পারে ভারত।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে যদি করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে লাগাম টানা যাবে। একই সঙ্গে মানুষ যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে এবং মুখে মাস্ক পরে, তাহলেও সংক্রমণের হার কমে আসতে পারে।
আইআইএসসির গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ভারতে ১ সেপ্টেম্বর সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ হতে পারে। মৃতের সংখ্যা হতে পারে ১ লাখ ৪১ হাজার। ১ অক্টোবর সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ৬৮ লাখ, মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার। ১ ডিসেম্বর সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ১ কোটি ৯৩ লাখ, মৃতের সংখ্যা ৮ লাখ ৩৬ হাজার। ১ জানুয়ারি সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ২ কোটি ৯৬ লাখ, মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ১ হাজার।
ভারত সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার করোনার সংক্রমণ রোধ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এবার রাজ্যে যথারীতি দুর্গাপূজা হবে। তবে তা করতে হবে করোনা বিধি মেনে। মণ্ডপে একসঙ্গে ঢুকতে পারবে ২৫ জন ভক্ত। ঢুকতে হবে সামাজিক দূরত্ব মেনে। ঢোকার সময় হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। এসব ব্যবস্থা করবে প্রতিটি পূজা কমিটি।
Source: Prothom Alo