অনলাইন ডেস্কঃ
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পিকআপ ভ্যানে হাসপাতালে নেয়ার পথে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ বাঁচার জন্য অক্সিজেন চাইলে তাকে আরো দুটি গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত।
বন্ধুদের কাছে এ কথা বলেছেন ওই পিকঅ্যাপের চালক আবুইয়া। আবুইয়ার বন্ধু সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
অটোরিকশা চালক বলেন, ঘটনার পর সেই মিনি পিকআপ চালক বেলাল ওরফে আবুইয়া তাকে বলেছেন হাসপাতালে নেবার পথে সিনহাকে আরো দুই রাউন্ড গুলি করে পুলিশ।
তিনি বলেন, গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছিল। সে অবস্থায় গুলিবিদ্ধ লোকটি অক্সিজেন চেয়েছিল। তখন তাকে আবার দুইটি গুলি করা হয়।
এদিকে জানা গেছে, হাসপাতাল থেকে আসার পর অনেকটাই ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন আবুইয়া। তার পরিচিতজনরা জানান, গুলি করার ভয় দেখিয়ে তাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে গেছে।
পরিচয় গোপন রেখে একজন বলেন, লাশ দেখে আবুইয়া ভয় পেয়েছে। শুধু এই কথাটুকুই বলেছে। ত্রিপলের মধ্যে রক্ত লেগেছিল। সেটা তার বাবা ধুয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও পুলিশের করা এজহারে ঘটনাস্থলে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আত্মরক্ষার্থে ৪ রাউন্ড গুলি করেছে বলা হয়েছে। তবে পুলিশের করা সুরতহালে সিনহার গায়ে ৬টি গুলির গভীর ক্ষতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর থেকে সিনহা হত্যা মামলার চার আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) তদন্তদল। চার পুলিশ সদস্যকে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, আজ দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলার রিমান্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের আদেশপ্রাপ্ত সাত আসামির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জেলা কারাগারে পৌঁছেছে। ফলে কারাফটকে র্যাব সদস্যরা চার আসামিকে বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। আগামীকাল রোববার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত আসামিদের র্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, সিনহাকে গুলি করা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল সাফানুর করিম, উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া।