জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর ইসলামপুরে উপজেলা কালোবাজারে মজুদ করা ভিজিডি ও বন্যার্তদের জন্য সরকারি বরাদ্দের ৯২২ বস্তা চাল জব্দ সহ গুদাম সিলগালা করে উপজেলা প্রশাসন। ১৭ আগস্ট রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ইসলামপুর পৌরসভার দক্ষিণ দরিয়াবাদ এলাকার খাদ্য ব্যবসায়ী মাহমুদুল ইসলামের মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানের গুদামে স্থানীয় প্রশাসন এ অভিযান চালায়। জব্দ করা চালের মধ্যে ভিজিডি বরাদ্দের প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি হিসেবে ৩২২ বস্তায় ৯ হাজার ৬৬০ কেজি এবং বন্যার্তদের জন্য সরকারি ত্রাণের বরাদ্দের প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি হিসেবে ৬০০ বস্তায় ১৮ হাজার কেজি চাল রয়েছে। সব মিলিয়ে ওই গুদামে কালোবাজারে মজুদ করা হয়েছে ২৭ মেট্রিক টন ৬৬০ কেজি চাল। জানা যায়, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় গোয়ালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান শেখ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ তার ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারী দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য এবং বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারি বরাদ্দের বিপুল পরিমাণ চাল ইউনিয়ন পরিষদে না নিয়ে কালোবাজারে মজুদ করেছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা জামালপুর গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইয়ের একটি টিম ১৭ আগস্ট গোয়ালেরচরে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। পরে রাত ৯টার দিকে এসএসআইয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ইসলামপুর পৌরসভার দক্ষিণ দরিয়াবাদ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় খাদ্য ব্যবসায়ী মাহমুদুল ইসলামের গুদাম থেকে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের জন্য সরকারি ভিজিডি ও ত্রাণের বরাদ্দের ৩০ কেজি ওজনের ৯২২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। ইসলামপুরের ইউএনও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চালের বস্তার জব্দ তালিকা তৈরি করে গুদামটি সিলগালা করে দেন। এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট সকালে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিমও গঠন করা হবে বলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত জানান ইউএনও। এ সময় ইউএনও ছাড়াও ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সুমন মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান ও এনএসআইয়ের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিতি ছিলেন।