ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

juel / ১০৫ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ময়মনসিংহ অফিসঃ

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান তার বিরুদ্ধে পরিষদের আনিত সকল অভিযোগ কে মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ কারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। ৯ই সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউছুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রদান করে জেলা পরিষদের ১৭ জন সদস্য।

পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিহিত করেছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউছুফ খান পাঠান। ১২ই সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১২ টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে অভিযোগের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান।

সংবাদ সন্মেলনে ,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন- জেলা পরিষদের প্রায় ৬শ প্রকল্প রয়েছে, চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি কোথাও কোন দূর্নীতি হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন৷

তিনি ৯ তারিখের ১৭জন সদস্যদের অভিযোগের উত্তরে বলেন, পাটগুদাম মন্দির ভাঙ্গা নিয়ে একটি মহল নোংরা রাজনীতি করছে, অথচ ঐ মন্দিরে তিনি ২লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
একটি প্রকল্পে বারবার অর্থ বরাদ্দ নিয়ে অভিযোগ কারীদের অভিযোগ খন্ডন করে তিনি বলেন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলা ৪২ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত। দীর্ঘদিনের পুরনো ডাকবাংলা নির্মানে ৪৫কোটি দরকার।পূর্বের চেয়ারম্যান এড জহিরুল হক খোকা ৩০ কোটি টাকা রেখেছেন। আমার আমলে ১২ কোটি টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। এখানে স্বচ্ছতার কোন অভাব নেই।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউছুফ খান পাঠান সদস্যদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন বলেন-মুজিব বর্ষের জন্য মেম্বারদের একটি প্রকল্প তৈরীর জন্য বলি। উনারা ৭কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করে। কেক কাটা অনুষ্ঠানের জন্য ২লাখ টাকা করে প্রতিজন চায়।তাদের ১লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৫ ই আগষ্ট উপলক্ষে জেলা পরিষদ ব্যাপকভাবে অনুষ্ঠান করেছে। স্বজন প্রীতির অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিহিত করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন-এখানে লটারির মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ বন্টন হয়। কোন কিছু গোপনের কিছুই নেই। তিনি বলেন-তারাকান্দা উপজেলায় একটি দুতলা মার্কেট নির্মান করে ২৫ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করে জেলা পরিষদের ফান্ডে জমা করেছি।

সংবাদ সম্মেলনকে তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বলে উল্লেখ করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর