ময়মনসিংহ অফিস;
ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে ব্রক্ষপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন, আজ বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহ নুরুজ্জামান ও মাহবুব বাবু।
লিখিত বক্তব্যে বলেন বিগত ২০১৯ সালে শুরু হওয়া ব্রক্ষপুত্র নদকে খনন করার লক্ষ্যে ২হাজার ৭শত ৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে জামালপুরের পোলাকান্দি থেকে গাজীপুরের টোক পর্যন্ত ২২৭ কিলোমিটার নদী খননের কাজ চলছে। শুস্ক মৌসুমে ১০০মিটার প্রস্থ এবং ১০ ফুট গভীরতা থাকার কথা বলা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় উচ্ছেদের কাজ করা হবে বলা হয়েছিল। খননকাজ শেষে আরো তিনবছর দেখভাল করার কথা রয়েছে। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এখনও নদীর সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী সীমানা পিলার বসানো হয়নি। দখলধারী উচ্ছেদ করা হয়নি।বেশ কয়েকটি শহর, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নদী দুষন করে যাচ্ছে। হাজার হাজার কলকারখানা টিটিপি ছাড়াই চলছে,কলকারকানার বিষাক্ত কেমিক্যাল বর্জ্য নদীতে পড়ছে। এতে নদী বিষাক্ত হচ্ছে। বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে প্রকৃতিসহ বিভিন্ন প্রাণী। এদেরকে রক্ষা করার জন্য নদীকে বাঁচাতে হবে। তারা ৭দফা দাবী উপস্থাপন করেন, দাবি সমূহ হচ্ছে খননের নামে ব্রহ্মপুত্রকে খালে পরিনত করা চলবে না।নদীর বুককে দখলমুক্ত করার জন্য সকল ধরনের স্থাপনা অনতিবিলম্বে উচ্ছেদ করে নদীর স্বাভাবিক গতিধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। কলকারখানার এবং বিভিন্ন শহর জনপদের বিষাক্ত বর্জ্য,আবর্জনা নদীতে ফেলা বন্ধ করতে হবে।১৯৫০ সনের প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী দেশের সমস্ত নদী খালবিল জলাশয়ের জায়গা চিহিৃত করে স্থায়ী সীমানা পিলার বসাতে হবে। প্রাণ-প্রকৃতির শত্রু প্লাষ্টিক প্যানা নিষিদ্ধ করতে হবে।নদী খালকে সংকীর্ণ করে পুরানো ধাঁচের নদী হস্তারক ব্রীজ কালভার্ট স্থাপন থেকে বের হয়ে প্রয়োজনে ঝুলন্ত ব্রীজ তৈরি করতে হবে।সমস্থ নদী খালের গতিরোধকারী বাঁধ অপসারন করে স্বাভাবিক জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।