ময়মনসিংহ অফিসঃ শিশু হাসপাতালের জন্য ভূমি বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ছত্রপুর মৌজায় ৩ একর ভূমি চিহ্নিত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আসলেই বাকী প্রক্রিয়া শুরু হবে। কবে অনুমোদন আসবে এবং তৎসংক্রান্তে বাকী অগ্রগতি সম্বন্ধে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আমাদেরকে টেলিফোনে বলেছেন, তিনি মাত্র কয়েকদিন আগে যোগদান করেছেন। ফাইল দেখে পরে বিস্তারিত অগ্রগতি জানাতে পারবেন।
আজ দুপুরে স্মারকলিপি প্রদানকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত এবং জেলা জাসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু’র আলোচনার অগ্রগতি এ পর্যন্তই।
এ সময় চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি শংকর সাহা, সাংবাদিক নিয়ামুল কবীর সজল, বাবলি আকন্দ, সমাজকর্মী শামীম আশরাফ উপস্হিত ছিলেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহবাসীর উদ্বেগের কারণ হলো, প্রাথমিকভাবে ১০০ শয্যা দিয়ে শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হবে এমন পরিকল্পনা থেকে ২০১৭ সালের মার্চে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২০ এর জুনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভূমি বরাদ্দের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। ২০২০ এর জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শরুই হয়নি। তবে জানা যায় করোনার কারণে টাকা ফিরে যাবে না, আবার শুরু হবে।
বিষয়টি উদ্বেগের কারণ এ জন্যই যে বিগত তিন বছরে উক্ত প্রকল্পের কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম নাগরিকদের দৃষ্টিগোচরে আসেনি। বিমান বন্দর, বিভাগীয় শহর প্রকল্পের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা ময়মনসিংহের নাগরিকদের উদ্বিগ্ন হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারছে না।
নেতৃবৃন্দ শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম দৃশ্যমান করে নাগরিকদের নিরুদ্বিগ্ন করার ব্যবস্হা গ্রহণে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন।