মুক্তাগাছা অফিসঃ
চালের বাজার অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অসাধু উপায়ে চাল মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মুক্তাগাছা উপজেলার মালতীপুর এলাকায় রাহাত অটো রাইস মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মজুদ ধারীদের বিরুদ্ধে অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৩ ধারা অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মোট ৫ টি মামলায় ৭৬২০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালতে।
এ সময় রাহাত অটো রাইস মিলে চালের মজুদ পাওয়া যায় ৩২০ টনের অধিক। এত বিপুল পরিমাণ চাল ১৫ দিন যাবৎ রাইস মিল কর্তৃপক্ষ বিক্রি না করে মজুদ করছেন। অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৩ ধারা অনুযায়ী ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে রাহাত অটো রাইস মিলকে ৬০০০০(ষাট হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস কারাদন্ড ঘোষণা করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতে। জরিমানা পরিশোধিত। রাইস মিল কর্তৃপক্ষকে চাল বাজারে বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে আটানি বাজার এলাকায় আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় আরো ৪ টি মামলায় ১৬২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোট ৫ টি মামলায় ৭৬২০০ টাকা জরিমানা করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতে। ভ্রাম্যমান আদালত এসময় জানান,
চালের মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ানো যাবে না, যদি তা করা হয় তাহলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকার নির্ধারিত বি আর ২৮ও ২৯ সর্বোচ্চ ২২৫০ টাকায় ৫০ কেজির চালের বস্তা বিক্রি করা যাবে। এর বেশি হলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যহত থাকবে। প্রসিকিউটর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মুক্তাগাছা ও মুক্তাগাছা থানা পুলিশ আদালতকে সহায়তা করেন।
জেলা প্রশাসক মো.মিজানুর রহমান জানান, হঠাৎ করে বাজারের চাল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একটি চক্র কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন কাজ করছে।