বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কোরবানির পশুরহাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাবেচা যে কারনে বাজারগুলোতে চরম করোনা সংক্রমণের ঝুকি বিরাজ করছে। দিন দিন এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারনে ঈদ সামনে রেখে হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে প্রশাসন কোরবানির হাটে ক্রেতা বিক্রেতার জন্য অনেকগুলো শর্ত আরোপ করলেও বাস্তবে তা পরিলক্ষিত হয়নি ।
সাপ্তাহিক হাটের দিন সোমবার কোরবানির হাটে মাস্ক, হ্যান্ডগ্যাভস ছাড়া ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু কেনাবেচা। ফলে পশুর হাটগুলো যেন করোনাভাইরাসের হটস্পট হয়ে উঠেছে। আবার ল্যাম্পি স্কিন নামে গবাদিপশুর আরেকটি ভাইরাস জনিত রোগও প্রকট আকার ধারণ করেছে ঈশ্বরগঞ্জসহ দেশে। এরপরও হাটগুলোতে পশুগুলোর কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই চলছে কেনাবেচা। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে হাট-বাজারের ইজারাদারদের পক্ষ কোন প্রকার প্রচার প্রচারনাও নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর ছাগল বাজারের ইজারাদার মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বাজারে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে কোন প্রচারনা নেই। পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। মৌখিক ভাবে লোকজনকে বললেও তা কেউ মানেছেনা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতা দু’পক্ষই যাতে উপকৃত হয় সেজন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে কাজ করবে। বর্তমানে পশুর হাটগুলোতে কোন মেডিকেল টিম নেই। আমাদের এলাকায় ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ নামের এই রোগটি কম সংখ্যায় পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, পৌরসভার মেয়র ও বাজার কর্তৃপক্ষের সাথে মিটিং করেছি। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কার্য়ক্রম করার কথা। দেখি আগামী বাজার থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।