ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মেয়র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসদুর রহমান শুভ্র’র হত্যাকারীদের ফাাঁসির দাবিতে সোমবার (২ নভেম্বর/২০২০) বিক্ষোভ মিছিল সন্ধ্যায় শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এরপূর্বে গৌরীপুর ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসা মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র’র শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন গৌরীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি যতীস চন্দ্র বর্মন । সভা সঞ্চালনা করেন গৌরীপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আবুল কালাম।
হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মুন্নাফ, নিহতের চাচা সাদেকুর রহমান সেলিম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি, গৌরীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল কাদির, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু, পৌর ছাত্রলীগের সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা পাভেল রহমান প্রমুখ।
গৌরীপুর পৌরসভার পানমহালে ১৭ অক্টোবর রাতে সাড়ে ১০টায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে। হত্যাকা-ের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে ১৯ অক্টোবর গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির (একাংশের) যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ (৩৮)কে। এছাড়াও গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার দু’ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম (৪৫), সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল (৪২), রিয়াদুজ্জামান রিয়াদের ভাই কার্জন, উত্তর বাজার মহল্লার সাকিব আহম্মেদ রেজা (৩৩), পশ্চিম ভালুকার রিফাত (৩২), মইলাকান্দা ইউনিয়নৈর লামাপাড়ার মোজাম্মেল (৩০), নন্দুরা গ্রামের সুমন (৩০), পশ্চিম কাউরাট গ্রামের খাইরুল (৩০) ও হানিফ (৩০), পশ্চিম কাউরাট গ্রামের চান মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া (৩২), ইউনুছ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও আব্দুল খালেকের পুত্র মজিবুর রহমান (৩০) কে ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করা হয়। গত ২০অক্টোবর গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি ও দল থেকে পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
অপরদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেফতার করেছে গৌরীপুর থানা ও ডিবি পুলিশ। ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ কামাল আকন্দ জানান, তাদের ৬জনই জেলহাজতে রয়েছে।