ষ্টাফ রিপোর্টার;
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পৌর মেয়র
সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে হাইকোটের্র দ্বৈত বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন ৬সপ্তাহের আগাম জামিন প্রদান করেছে। বিষয়টি শনিবার (৭ নভেম্বর/২০২০) নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ কামাল আকন্দ।
তিনি জানান, ৫ নভেম্বর হাইকোটের বিজ্ঞ বিচারপতি শেখ মোঃ জাহির হোসেন ও বিজ্ঞ বিচারপতি কে.এম জাহিদ সরোয়ার এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিনাদেশ প্রদান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়েছেন।
গৌরীপুর থানা পুলিশের ওসি মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ সংক্রান্ত কাগজ আমি আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) হাতে পেয়েছি।
মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিএনপি নেতা রিয়াদ চেয়ারম্যানসহ ছয়জন গ্রেফতার হয়েছেন।
এর মধ্যে খাইরুল নামের এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, শুভ্র হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বর্তমান গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি।
দলীয় সূত্রের দাবি, শুভ্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় দফতরে চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুভ্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ অক্টোবর ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, তার ছোট ভাই ছাত্রদল কর্মী কার্জন, স্থানীয় বাসিন্দা সাকিব আহমেদ রেজা, মোজাম্মেল, খাইরুল, রিফাত, হানিফ, জাহাঙ্গীর আলম, মজিবুর রহমান, সুমন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল ও রাসেল মিয়া।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের পরিকল্পনায় আসামিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সৈয়দ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছিলেন নিহত মাসুদুর রহমান শুভ্র।