উপজেলা করেসপন্ডেন্টঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি রক্ষায় সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ভক্তরা।
দাবিগুলো হলো- ঢাকা- মোহনগঞ্জ রেলপথে চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেনের নাম হুমায়ূন আহমেদ ও কিংবা তার উপন্যাসের চরিত্রের নামে নামকরণ, গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে হুমায়ূন আহমেদ চত্বর প্রতিষ্ঠা ও গৌরীপুর জংশনে হুমায়ূন আহমেদের ভাস্কর্য নির্মাণ ।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে হুমায়ূন আহমেদের ৭২ তম জন্মোৎসবের অনুষ্ঠান থেকে এই দিন দফা দাবি জানান ভক্তরা। এর আগে জন্মোৎসব উপলক্ষে জংশনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও কেককাটার আয়োজন করে ভক্তদের সংগঠন হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি পরিষদ।
জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ সদস্য এইচএম খায়রুল বাসার বলেন হুমায়ূন আহমেদের রচিত বাংলা সাহিত্যের একটি কালজয়ী উপন্যাস গৌরীপুর জংশন। এই উপন্যাসের কারণে গৌরীপুর জংশন আজ দেশ-বিদেশে একটি পরিচিত নাম। লেখকের স্মৃতি খুঁজতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসে এখানে। দাবিগুলো পূরণ হলে গৌরীপুর জংশন দর্শনীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হবে।
সংগঠনের সভাপতি মোতালিব বিন আয়েত বক্তব্যে বলেন গৌরীপুর জংশনে হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি রক্ষায় আমরা ট্রেনের নামকরণ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু র্দীঘ সময় পার হলেও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষ আমাদের দাবি পূরণে উদ্যোগী হবেন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার বলেন রেলযোগাযোগ ব্যবস্থায় বনলতা এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন নামে ট্রেন চালু রয়েছে। তাই হুমায়ূন আহমেদ কিংবা তার উপন্যাসের চরিত্রের নামে ট্রেনের নামকরণের দাবিটি অযৌক্তিক নয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক রাজগৌরীপুরের উপদেষ্টা সম্পাদক আজম জহিরুল ইসলাম, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রায়হান উদ্দিন সরকার, সাবেক সভাপতি মহসীন মাহমুদ, গৌরীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মিলন খান, জহিরুল ইসলাম রমজান, পীযুশ রায় গণেশ, রাজন, পারভেজ প্রমুখ