ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি;
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সভা করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সকালে ও বিকেলে পৃথক স্থানে বর্ধিত সভা করা হয়। এ নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা পাঠানোর জন্য নির্দেশনা আসে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বর্ধিত সভা করে প্রার্থী তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় স্থানীয় পৌর আওয়ামী লীগকে। নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভা করে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই পাল্টাপাল্টি সভা করেছে। প্রথমে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় ডাক বাংলোয় ঈশ্বরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে সভা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী মো. মহসিন মানিক। সভায় পৌর আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামসহ ৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কমিটির কাছে আসন্ন পৌর সভা নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবুল খায়ের একক ভাবে প্রার্থী হতে আবেদন করায় আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু সভায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. হাবিবুর রহমান হাবিবসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না। তবে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পৃথকভাবে বর্ধিত সভার আয়োজন করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হেকিমও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কমিটির অন্তত ৪৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত সভায় কমিটির কাছে আগামী পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ছাড়াও বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস ছাত্তার, আবদুল জলিল মন্ডল, পলাশ গুণ ও আবুল কালাম আজাদ লিটন আবেদন করেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সভা ডাকলেও সভাপতি উপস্থিত হয়নি। ওই অবস্থায় সহ-সভাপতির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের কাছে আবুল খায়ের মেয়র পদের জন্য আবেদন করায় সর্বসম্মতিক্রমে তার নাম কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সাধারণ সম্পাদককে নিয়ম অনুযায়ী সভা ডাকার নির্দেশনা দিলেও তা মানেননি তিনি। ওই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ২২ ঘণ্টার নোটিশে সভা আহ্বান করেন। তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক যেটি করেছে সেটি সম্পূর্ণ বেআইনী ও গঠনতন্ত্র বিরোধী