ধানের ভরা মৌসুমেও চাল আমদানি করছে সরকার

juel / ৬৬ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

আমনের ভরা মৌসুমে বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে সরকার। ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য এই চাল কিনবে সরকার

‍বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৪তম বৈঠকে এই ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
দুর্যোগকালে চাল আমদানি না করে ভরা মৌসুমে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও কৃষক নেতারা। দেশে কয়েক দফা বন্যার পরও কৃষকদের কল্যাণে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ জমির ধান কাটাও শেষ হয়েছে। বাজারে আসা প্রতি মণ নতুন আমন ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকার উপরে।

এতে বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় হঠাৎ চাল আমদানির ঘোষণা দিলো সরকার। ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, ৫০ হাজার মেট্রিক টন বাসমতি চাল কিনতে খরচ হবে ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ৩৪.২৮ টাকা হারে এ চাল সরবরাহ করবে মুম্বাই।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মৌসুমের অন্তত দু’মাস আগে সরকারের চাল আমদানি করা উচিত ছিলো।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে আমরা দেখেছি চালের দাম বেড়ে গেলো। এতে করে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। ওই সময়টাতে যদি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত তাহলে কৃষকরা দাম পড়ে যাওয়া হাত থেকে রক্ষা পেত।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক নেতারা। এ বিষয়ে রংপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘মিল মালিকদের গোডাউনে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকার পরও তারা বাজারে চাল সরবরাহ করছে না। আমরা মনে করি যে, এই ক্ষেত্রে আসলে সরকারের মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
রংপুর জেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, ‘আমদানিকে এই মুহূর্তে আমরা নিরুৎসাহিত করতেছি এবং কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার পরামর্শ দিচ্ছি।’
বর্তমানে দেশে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিকন চাল ৫৫-৫৭ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮-৪৯ টাকা এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর