রাকিবুল ইসলাম রাকিবঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ‘হারুন টি হাউজে’র চা খেয়ে পুরুস্কার জিতে নিয়েছেন ২০ জন গ্রাহক। আর্ন্তজাতিক চা দিবস উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর সোমবার মধ্যরাতে গৌরীপুর হারুন টি হাউজের পরিচালক হারুন অর রশিদের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিযোগিতায় হারুন টি হাউজের নিয়মিত চা খেতে আসা গ্রাহকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে সেরা ২০ জন গ্রাহক নির্বাচিত করা হয়।
জানা গেছে গৌরীপুর পৌর শহরের সতীষা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে হারুন অর রশিদ। সংসারের হাল ধরতে পাঁচ বছর আগে পৌর শহরের ধানমহাল এলাকায় চায়ের দোকান দেন হারুন।
ওই এলাকায় একাধিক চায়ের দোকান থাকলেও ব্যতিক্রম গ্রাহক সেবার কারণে হারুন টি হাউজ দ্রæত পরিচিতি লাভ করে। হওয়ায় । প্রতিদিন সকাল ও রাতে গ্রাহকদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে দোকান খোলা ও বন্ধ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেয় হারুন। এছাড়াও হারুন টি হাউজের ফেসবুক কিংবা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে গ্রাহকদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চা পাঠিয়ে দেয়া হয়। এবং অনিবার্য কারণবশত কোন কারণে দোকান বন্ধ থাকলেও মুঠোফোনে কল কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে অগ্রিম জানিয়ে দেয়া হয়।
২০১৭ সাল থেকে হারুন টি হাউজ প্রতি বছর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেরা চা গ্রাহকদের সম্মননা দিয়ে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে লটারির মাধ্যমে হারুন টি হাউজের সেরা ২০ জন গ্রাহক নির্বাচিত করা হয়। গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু প্রধান অতিথি থেকে লটারির মাধ্যমে সেরা গ্রাহক নির্বাচিত করেন। লটারিতে মোঃ রানা মিয়া, হাসেম আলী, সোহেল রানা ও সৌমেত্র চমন সেরা চার জন গ্রাহক নির্বাচিত হয়ে একটি করে জগ জিতে নেন। এছাড়াও লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া বাকি ১৬ জনকে কলম, ইয়ারফোন ও মগ সহ বিভিন্ন ধরণের শুভেচ্ছা পুরুস্কার দেয়া হয়।
হারুন অর রশিদ বলেন ব্যতিক্রম কিছু করতে গিয়েই আর্ন্তজাতিক চা দিবস উপলক্ষে গ্রাহকদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সবাই পুরুস্কার না জিতলেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সবাই যে খুশি হয়েছে এতেই আমি আনন্দিত।
পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইছ উদ্দিন, ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ এমদাদুল হক, গৌরীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ফকির, ঠিকাদার নজরুল ইসলাম মিন্টু, সহকারি শিক্ষক আমিরুল মোমেনীন, কবি সেলিম আল রাজ প্রমুখ।