ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বিকেলে চার নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মাহবুবা আক্তারের আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন মেয়রকে।
পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় জামিন আবেদন করে গত ১৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হন মামলার এগারো নম্বর আসামি গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। উচ্চ আদালতের অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ম আদালতে হাজির হন। কিন্তু আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর গত মঙ্গলবার আসামি পৌর মেয়রের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে শনিবার বিকেলে সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। হত্যকাণ্ডকে ঘিরে কোনো তথ্যই পুলিশকে দেয়নি সে। ওই অবস্থায় রিমান্ড শেষ হওয়ায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
গত ১৭ অক্টোবর আলোচিত মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান শুভ্রকে পৌর শহরের মধ্যবাজার বাজার পানমহালে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিজের প্রচারণা শেষে কর্মীদের নিয়ে এক দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় দু’টি সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে হামলাকারীরা আক্রমণ করে শুভ্রকে। তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই আবিদুর রহমান প্রন্তা বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিয়াদুজ্জামান রিয়াদকে। মামলায় গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। মামলার ১৪ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে ৯ আসামি কারাগারে রয়েছেন