ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা ও থানা কমিটি গঠনে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে তাদের পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে পদ স্থগিত হওয়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দাবি, তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পান মাহবুবুর রহমান রানা। সাধারণ সম্পাদক হন আবু দাউদ রায়হান। গত ১৫ জানুয়ারি তাদের দু’জনের পদ স্থগিত করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক হেলাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের পদ স্থগিত হওয়ার কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই শাখার সিনিয়র সহসভাপতি তাপস সরকার ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ মিয়া ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়।
অভিযোগ, জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান রানা ও আবু দাউদ রায়হান অর্থের বিনিময়ে ভালুকা, গফরগাঁও উপজেলা ও পাগলা থানা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছেন। নগরীর ফুডল্যান্ড রেস্টুরেন্টে এ নিয়ে দেনদরবার ও অর্থের লেনদেন হয়।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান রানা বলেন, কিছু লোকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। যে ভিডিও এবং অডিও ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো এডিট করা। ভালুকার কমিটির যে কাগজপত্র ভাইরাল হয়েছে, সেটির সিলের মধ্যে তার নামের বানান ভুল রয়েছে। কমিটি গঠনে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে আবু দাউদ রায়হানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়। তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, ঘটনাটি নিয়ে তারা বিব্রত। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কেউ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। গফরগাঁও ও ভালুকায় দু’জন কথিত হাইব্রিড নেতার আর্থিক প্রলোভনের শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের দুই নেতা। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এই নেতা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় টিমের প্রধান মাজেদুল ইসলাম রুম্মন বলেন, কমিটি-সংক্রান্ত অভিযোগটি খুবই স্পর্শকাতর। তাৎক্ষণিকভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে পদ স্থগিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত হচ্ছে। বিতর্কিত লোকজনকে কোথাও রাখা হবে না।