ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
স্বামী হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হবির পক্ষে ভোট চাইলেন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান শুভ্রর স্ত্রী ও আলোচিত মেয়র প্রার্থী তাহরিমা আক্তার চুমকি।শুক্রবার রাতে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থনে অনুষ্ঠিত পথ সভায় উপস্থিত হয়ে উক্ত ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় চুমকি বলেন আমার স্বামীর স্বপ্ন ছিল চলমান এ নির্বাচন,এ কারনে তাকে হত্যার পর তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু আমার স্বামীর পরিবার ঐতিহ্যবাহী ত্যাগী পরিক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার,আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরোধীতা আমি করতে পারিনা। পাশাপাশি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের আমি কোন সুযোগ দিতে পারিনা,তাই হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমি এমুহূর্ত থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হবি’র পক্ষে কাজ করবো। এবং সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকাকে বিজয়ী করে আমার স্বামী হত্যার বিচার নিশ্চিত করবো।
চুমকির নির্বাচনে সরে দাঁড়িয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার এ ঘোষণার সাথে সাথে নৌকার কর্মী সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক প্রান চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সভায় উপস্থিত নেতা কর্মীরা জানান চুমকির নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত হল।
উল্লেখ তাহরিমা আক্তার চুমকির স্বামী গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় শুভ্র১৭ অক্টোবর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রিয়াদুজ্জামান এ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিলেও গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র ও চলমান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ইন্ধনে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা হয়। মামলায় তিনি ছাড়াও বিএনপির নেতা রিয়াদুজ্জামানসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ মেয়র রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।
মাসুদুর রহমান হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি রিয়াদুজ্জামানকে ইউপি সদস্য পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।