নিউজ ডেস্কঃ
ময়মনসিংহ নগরীতে অসহনীয় যানজট নিরসনে অবৈধভাবে চলাচলকারী যানবাহন বন্ধে আটক অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে পাঁচটি স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথম দিনের অভিযানে ৯১ টি অবৈধ রিক্সা আটক করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিটি কর্পোরেশন যানজট নিরসন কমিটির আহবায়ক ও সচিব রাজীব সরকার। এ সময় তাকে সহায়তা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে ও ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমানসহ সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা। টাউন হল মোড়, জিলা স্কুল সংলগ্ন ফুলবাড়ীয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, পাটগুদাম ব্রীজ মোড়, চরপাড়া মোড় ও গাঙ্গিনাপাড় মোড়। যানজট নিরসন কমিটির আহবায়ক ও সিটি করপোরেশনের সচিব রাজীব সরকার জানান, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু উদ্যোগে নগরীর অসহনীয় যানজট নিরসনে যানবাহনের মালিক, চালক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআরটিএ সহ সকল স্তরের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে অবৈধ যানবাহন চলাচল আটক অভিযান শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, ময়মননসিংহ শহরের যানজট নিরসনে অটো বাইক এর মত একদিন লাল ও একদিন সবুজ মোটা চাকার অটোরিকশা চলাচল করবে। যানজট নিরসন কমিটি ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে এর বাইরে কোন অবৈধ এবং নিয়মবহির্ভূত যানবাহন চলাচল করলে আটক করা হবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সহকারী সচিব আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, আজ থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল ৩টা পযন্ত অভিযান চলবে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সকৃত অটোবাইকের সংখ্যা ৭হাজার, মোটা চাকার অটোরিক্সা সাড়ে ৫হাজার, চিকন চাকার অটোরিক্সা সাড়ে ৫হাজার এবং পায়ে চালিত রিক্সার সংখ্যা ১হাজার রয়েছে।
এদিকে জিলা স্কুল মোড়ে আটক রিক্সার চালক আবদুল হালিম জানান, ১৫ হাজার টাকা দিয়ে লাইসেন্স করেছি। এখন আমার রিক্সার লাইসেন্স অবৈধ হিসেবে আটক করা হয়েছে। এসব লাইসেন্স কারা তৈরী করে দিয়েছে। তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। এ থেকে প্রমাণ হয় অসংখ্য অবৈধ লাইসেন্স তৈরী করে বিক্রি করা হয়েছে। এর সাথে সিটি করপোরেশনের কোন কর্মচারী জড়িত থাকলে তাকেও শাস্তি আওতায় হবে।