ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকারপরও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা: নূরুল হুদা খান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া আল-মন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট রোগি দেখার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় তিনি ওই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন।
অভিযোগে জানাযায়, ডা: নূরুল হুদা খান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পূর্ব থেকে ৫-৬বছর যাবৎ নিয়মিত রোগি দেখচ্ছেন ওই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে। করোনাভাইরাসের এসময়ে ডাক্তারদের স্টেশনের বাইরে অবস্থান না করার নিদের্শ থাকার পরও তিনি অন্য জেলায় গিয়ে প্রাইভেট রোগি দেখছেন। সরকারি গাড়ি ব্যাক্তিগত কাজে বেশিরভাগ সময়ই যত্রতত্র ব্যবহার করছেন তিনি। এতে একদিকে যেমন জ্বালানি তেলের খরচ সরকারি কোষাগার থেকে যাচ্ছে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে গাড়ির।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দুয়ার আল-মন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে গাড়ি থেকে নেমে রোগী দেখতে চেম্বারে যান। পরে চালক শরিফ গাড়িটি পাশে খেলার মাঠে নিয়ে রাখেন। চালক শরিফ জানায় সে সরকারি চালক নয়, চালক অসুস্থ্য থাকায় ৫দিন যাবৎ গাড়িটি চালাচ্ছেন।
গাড়ির সরকারি চালক উজ্জ্বল বলেন, রোববার থেকে নিয়মিত অফিসে আসছি কিন্তু গাড়ি চালাচ্ছে অন্যজন।
এ ব্যাপারে ডাক্তার নূরুল হুদা খান বলেন, গত ৫-৬বছর যাবৎ আমি এখানে নিয়মিত রোগী দেখছি। ঈশ্বরগঞ্জ আসার পরও রোগি দেখছি। তবে সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রাইভেট প্রেক্টিস ও জেলার বাইরে যাওয়ার বিধান আছে কি না জানতে চাইতে তিনি এর কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, সরকারি গাড়ি নিয়ে জেলার বাইরে যাওয়া ঠিক নয়।
জেলার সিভিল সাজর্ন ডাক্তার নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি গাড়ি নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া বা ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার বিধান নেই।