গৌরীপুর প্রতিনিধিঃ
”মুজিববর্ষের অঙ্গীকার দেশে থাকবে না ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিব শতবর্ষ উপলেক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো।
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২০জুন) সকাল ১১.১০ টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্থানীয় পাবলিক হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনাড়ম্বর পরিবেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি, জমির দলিল, মাঠপর্চা, দাখিলা, ডিসিআর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এবং জনপ্রতিনিধিগণ তুলে দেন ।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দরিদ্র কবলিত বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড় করানোর প্রত্যয় গ্রহণ করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার। বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ, তারই ধারাবাহিকতায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের গৃহহীন এবং ভূমিহীন মানুষদের মাথা গুজার ঠাঁই করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন।
অঙ্গীকার করেছিলেন, ভূমিহীন থেকে নাম মুছে দেয়ার। আজ সেই স্বপ্নের দ্বীতিয় ধাপ বাস্তবায়ন হলো তার ঘোষণার মাধ্যমে গৌরীপুর উপজেলার ২৫ ভূমিহীন পরিবারের নিকট গৃহ হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ রাহাতের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি, গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, সাংবাদিক ও সুবিধাভোগীরা।
এ ব্যাপারে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ রাহাত জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামে ২ শতাংশ সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক কবুলিয়ত দলিল রেজিস্ট্রেশন, নামজারি সম্পন্নকরণ ও গৃহ প্রদানের সনদ সুবিধাভোগীদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদুর রহমান জানান ২য় ধাপে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে ১০ জন, ২নং গৌরীপুর ইউপিতে ০৮ জন, সহনাটি ০২ জন, মইলাকান্দা ০১ জন ও মাওহা ইউনিয়নে ০৪ জনকে ঘর হস্থান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান ৮ ঘর বৃষ্টির কারনে মাটি নরম থাকায় নির্মান করা হয়নি, তবে দ্রুত ঘরটি নির্মান করার ব্যবস্থা করা হবে।