মো. হুমায়ুন কবির;
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোয় মুর্শিদা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন গৃহবধূর স্বামী মাসুদ মিয়া ও শাশুড়ি।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ৮ টার দিকে ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মুর্শিদা বেগম ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূর দুই সন্তান কান্নাকাটি শুরু করলে শ্বশুর আব্দুল বারেক মাস্টার তাকে খুঁজতে শুরু করেন। ঘরে না পেয়ে আশপাশের বাড়িতেও খোঁজাখুজি করেন তিনি। পরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। ঘরটির জানালা ভেঙে সেখান দিয়ে মুর্শিদা বেগমকে ঝুলে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুর্শিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেন।
মুর্শিদা বেগমের চাচা মো. আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে নন্দীগ্রামের আব্দুল বারেক মাস্টারের ছেলে মাসুদ মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে মুর্শিদার বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা সুখেই ছিল। কিন্তু দুই/আড়াই বছর আগে মাসুদ মিয়ার বড় ভাই মারা গেলে তার স্ত্রী মাসুদের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এসময় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাসুদ। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাকে হাত পা বেধে মারধর করতেন তার স্বামী। ঘটনার দিন ভাবির সঙ্গে স্বামীকে দেখে ফেলায় মুর্শিদাকে মারধর করা হয়। এই ক্ষোভে আমার ভাতিজি আত্মহত্যা করে। আমি এর বিচার চাই।’
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, মুর্শিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।