আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলটির পরিচালক শাহজাহান কবীর হীরা।
অভিযোগে জানা যায়, পঞ্চাশ হাজার টাকা জামানত দিয়ে ২০১৭ সালে পৌর এলাকার পূর্ব দাপুনিয়া মহল্লায় জুলহাস উদ্দিন রতনের দু’ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার চারটি কক্ষ ভাড়া নেয়া হয়। মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে ডি.কে বি কিন্ডারগার্টেন নামে স্কুল চালু করেন শাহজাহান কবীর হীরা। করোনাকালীন লকডাউনের সময় সরকারি নির্দেশনায় বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়। এসময়ের মধ্যে বাড়ির মালিক মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়া বৃদ্ধির নোটিশ দেন। এতে উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে বাড়ির মালিক জুলহাস উদ্দিন রতন স্কুলে তালা লাগিয়ে দেন।
বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশে মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয় । পরে মালিক পক্ষ অজ্ঞাত কারনে দরবারে সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে স্কুল ভবন তালা লাগিয়ে দেয়।
এতে স্কুলে পড়ুয়া প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
দরবারে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, দরবারে সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মালিক পক্ষ তালা লাগিয়ে দেওয়া ঠিক করেননি।
ডি.কে বি কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক শাহজাহান কবীর হীরা জানান, মৌখিক চুক্তিতে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায় পাঁচ বছর মেয়াদে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে স্কুল চালু করেছিলাম। করোনা সময়ের কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় বাড়ির মালিক স্কুলে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।
বাড়ির মালিক জুলহাস উদ্দিন রতন বলেন, দুই বছরের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। স্কুলের পরিচালক বার বার তারিখ করেও ভাড়া দেননি। যে কারণে স্কুলে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বলেন- দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এখন স্কুল খোলা হয়েছে। এ অবস্থায় স্কুলে তালা লাগিয়ে দেয়াটা অমানবিক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।