তিলক রায় টুলু
গৌরীপুর উপজেলা থেকে নির্বাচনী মার্কা নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় অটো রিক্সার আরোহী রফিকুল ইসলাম (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত অপর ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার সময় গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ রেল ক্রসিং এলাকায় জারিয়া থেকে ময়মনসিংহ গামী বলাকা কম্পিউটার ট্রেনের সাথে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম (৪০) গৌরীপুর উপজেলার পুনরিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে মুখলেছ(১৮), হাসিম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন(২৫), হযরত আলীর ছেলে কিরন(৩০)চাঁন মিয়ার ছেলে স্বপন (৩২),ও কছম উদ্দিনের ছেলে সজিব (১৮)
আহতের মধ্যে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার দুটি পা ট্রেনে কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়ে গেছে।
তারা সবাই সিধলা ইউনিয়নের পুনরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জামাল উদ্দিনের (ফুটবল) প্রতীকের সমর্থক।
শ্যামগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ- সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওবায়দুর রহমান একজন নিহতের কথা নিশ্চিত করেন।
আহত স্বপন মিয়া জানান দুপুরে মার্কা নিয়ে গৌরীপুর থেকে শ্যামগঞ্জ সিধলা ইউনিয়নে যাওয়ার পথে শ্যামগঞ্জ রেল লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকা গামী বলাকা কম্পিউটার ট্রেনটি আমাদের বহনকারী অটো রিক্সাটিকে ধাক্কা দেয় এ সময় আমরা কয়েক জন লাফিঁয়ে পড়ে আহত হই।
শ্যামগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার অখিল চন্দ্র দাস জানান শ্যামগঞ্জ লেভের ক্রসিংটি সি ক্যাটাগরির হওযায় এখানে কোন গেইট ম্যান পাস নেই। তাই বলাকা কম্পিউটার ট্রেনটি শ্যামগঞ্জ স্টেশনে ইন করার আগেই এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান দুপুর ১২ টার সময় একটি অটো রিকসায় করে ফুটবর মাকার সমর্থক গৌরীপুর উপজেরার শ্যামগঞ্জ লেভল ক্রসিং পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বলাকা কম্পিউটার ট্রেনটি অটো রিক্সাটিকে ধাক্কায় দেয়। এ সময় শ্যামগঞ্জ লেভেল ক্রসিংটি অরক্ষিত ছিল। তখন কোন গেইট ম্যান ছিলো না এ ছাড়া প্রার্থীদের উল্লাস ও ভোঁ ভোঁ বাশীঁর শব্দের কারনে ট্রেনের কোন শব্দ পাওয়া যায়নি। মুহুত্বেই আনন্দ পূর্ণ এলাকাটি বিশাদে রুপ নেয়।