ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দুই কর্মকর্তা ও এক পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশের সব্বোর্চ্য পদক বিপিএম এবং আইজিপি ব্যাচ পেয়েছে। চলতি পুলিশ সপ্তাহে এই তিন পুলিশ সদস্যকে তাদের কর্মকান্ডে আরো মনোযোগী, কাজে আগ্রহী ও দায়িত্বশীল করতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ডিবি পুলিশের দায়িত্বশীল, কৌশলী, দক্ষ এই তিনি পুলিশ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ডিবির ওসি সফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এই ফুলেল শুভেচ্ছা দেন।
ডিবি অফিস জানায়, পেশাদারিত্ব ও কৌশলগত প্রচেষ্টায় দায়িত্ব পালন করে অজ্ঞাতনামা ও চাঞ্চল্যকর অপরাধের রহস্য উদঘাটন, কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মানবিত পুলিশী কার্যক্রমে অগ্রণী ভুমিকা পালন করায় ডিবির সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার হোসেন ২০২০ সালের জন্য আইজিপি ব্যাচ প্রাপ্ত হয়েছেন। আনোয়ার হোসেন করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক পুলিশী কার্যক্রম চালিয়ে কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে জীবনের ঝুকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্রাণ ও রান্না করা খাবার পরিবেশণ করেছেন। এই সময়ে জেলা পুলিশের হটলাইনে অসহায়/দুস্থদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে জেলা পুলিশের ভামুর্তি উজ্জল রাখেন। এছাড়া তিনি নান্দাইলে চাঞ্চল্যকর অটো চালক হত্যা মামলা নং ২১(৩)২০২০ ঘটনার রহস্য উদঘাটন, হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার এবং জড়িত ৫জনকে গ্রেফতার করেন। যাদের চারজন আদালতে স্বিকারোক্তি দিয়েছে। ফুলবাড়িয়ায় অজ্ঞাত গার্মেন্টকর্মী হত্যা মামলা নং-১১(৬)২০২০। এই ঘটনায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে লাশের পরিচয় সনাক্ত ও আসামীদের গ্রেফতার করেন। করোনা পরিস্থিতিতে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তিকারীকে দ্রুত গ্রেফতার, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, সচিব ও পুলিশ অফিসার পরিচয়ে প্রতারণকারী আলোচিত স্বপন মন্ডলকে গ্রেফতার ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও করোনাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে অসহায় যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জীবনবাজি রেখে এসআই আনোয়ার হোসেন আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতদলকে গ্রেফতার করে। এ সব ঘটনায় তিনি আইজিপি ব্যাচ পেয়েছেন।