আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঘোষপাড়া পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠেছে।
গত ২২শে মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়র এস এম সির সভাপতি ফাতেমা আক্তার সহ পঞ্চাশোর্ধ অভিভাবকবৃন্দ।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে তদবিরের মাধ্যমে মোঃ আব্দুল মান্নান গত ২৩ শে এপ্রিল ২০১৯ সালে ঘোষপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান।
অভিভাবক ও এলাকার ব্যাক্তিবর্গের সাথে খারাপ ব্যাবহার ও অশালীন কথাবার্তা বলা।
মেরামত স্লিপ ও প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর বরাদ্দ বিষয় নিয়ে মনগড়া কমিটি গঠন করে অর্থ আত্বসাৎ করা।
বিদ্যালয় পতাকা না নামিয়ে চলে যাওয়া।প্রধান শিক্ষক একাদিক বিয়ে করা,প্রথম স্ত্রী অভিযোগে দুই বছরের বরখাস্ত অবস্থায় থাকায়।
পঞ্চম শ্রেণী টাকার বিনিময়ে বোর্ড সনদ পত্র প্রদান করা।
অবৈধ সাব মিটার লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিতরন,সহ শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার এর স্বামী আবুল কালাম আজাদের যোগসাজশে বিদ্যালয়ের ৪৩ শতাংশ ভূমি বাদ দিয়ে ১০ শতাংশ করা।
উপরোক্ত বিষয়গুলো তদন্ত পূর্বক উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অনত্র বদলী করে বিদ্যালয় পড়াশুনার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশের দাবী জানান।
তা ছাড়া নতুন ভবন নির্মানের ঠিকাদার মোঃ আব্দুল্লাহ গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎতের সাব মিটার লাগানো, ৪০ মন রড,৩৫ বস্তা সিমেন্ট ও ৫০০ খালি সিমেন্টের বস্তা ও কাটার মিশিন আত্বসাতের আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে গত ২৩ মার্চ প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক মোঃ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ গালিগালাজ ও প্রাণ নাসের হুমকি প্রদান দাবী করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখিত উভয় পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভিন সহ শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাহেদুল ইসলাম,ফারজানা জান্নাত খান,হাদিউল ইসলাম বিদ্যালয় গমন করে তদন্ত করেন।
এ সময় তদন্তকারী টিম অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে সাক্ষ গ্রহন করে চলে আসেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন- সহ শিক্ষক মোঃ শাহজাহানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তার নেতৃত্বে কিছু এলাকার ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হেও করার জন্য তাদের উস্কে দেয়।
তদন্ত টিমের প্রধান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভিন সাংবাদিকদের জানান,তদন্ত চলমান। আমি সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।