কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) সংবাদদাতাঃ
স্ত্রী ও সন্তানদের জমি বাড়ি লিখে না দেয়ায় আব্দুর রাজ্জাক নামের এক বৃদ্ধকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি করে রেখেছিল পরিবারের সদস্যরা। মানবাধিকারকর্মীদের সহায়তায় শনিবার বিকালে মনাটিয়া গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
কেন্দুয়া উপজেলার ১১নং চিরাং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনাটিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাককে তার স্ত্রী ও সন্তানরা জমি-বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। জমি-বাড়ি লিখে না দেয়ার ক্ষোভে দেড় মাস আগে স্ত্রী ও সন্তানরা ওই বৃদ্ধকে শিকল দিয়ে বেঁধে বসতঘরের কোণে কৌশলে বন্দি করে রাখে। স্থানীয় গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পায় মানবাধিকারকর্মীরা। এরপর কেন্দুয়া থানা পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধের বাড়ির বসতঘর থেকে শিকলে বাঁধা থেকে মুক্ত করে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ বৃদ্ধের স্ত্রী হামিদা আক্তার ও তার ছেলে সেলিমকে আটক করে।
মানবাধিকারকর্মী ও কল্যাণী ফাউন্ডেশনের সভাপতি কল্যাণী হাসান জানান, বৃদ্ধকে শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি রাখার ঘটনাটি সম্পূর্ণ অমানবিক। আমরাও এ ঘটনার বিচার চাই।
বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে স্ত্রী ও ছেলেদের জমি-বাড়ি লিখে না দেয়ায় আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি করে রাখে তারা। ঈদের দিন অনেক কান্নাকাটি করলেও তারা আমাকে ছাড়েনি। শেকল দিয়েই বেঁধে রাখে।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো. আলী হোসেন পিপিএম জানান, শিকলে বন্দি অবস্থার খবর পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।